১. প্রেক্ষাপটঃ
শাল্লা- একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি সুশাসনের সকল মানদণ্ড দ্বারা স্বীকৃত। আইনের শাসন ও কার্যকর বিচার ব্যবস্থা এখানে উপস্থিত। যেকোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটিত করলে তার উপযুক্ত শাস্তি এখানে নিশ্চিত করা হয়। রাষ্ট্র নাগরিকদের অপরাধ কার্যে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু ব্যক্তির অপরাধপ্রবণতাকে মেনে নিয়ে সকল ধরণের ভাল-মন্দ কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতাকে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ফলে এই রাষ্ট্রে কতিপয় ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার যথেচ্ছাচার দেখা যায় যা জাতীয় সংহতির জন্য ক্ষতিকর।
গোল্লা- আরেকটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রটি অপরাধ ও মন্দ কাজের উপস্থিতিকে অসহনীয় মনে করে। তাই অপরাধ সংঘটনের পর শাস্তি দানের চাইতে কোন অপরাধ ঘটার পূর্বেই তা প্রতিহত করার জন্য এই রাষ্ট্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এখানে রাষ্ট্র নাগরিকদের মেটাডাটা ও সাইকোগ্রাফিক উপাত্ত সংগ্রহ করা ছাড়াও নজরদারি উপকরণের চরম ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য অপরাধী ও অপরাধকর্মকে আটকানোর চেষ্টা করে থাকে। চিন্তার স্বাধীনতা ও ব্যক্তির প্রাইভেসির উপরে এখানে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।